মুখ খুললেন লিন

 চীনা বংশোদ্ভূত মিস কানাডাকে শনিবার মিস ওয়ার্ল্ড সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা দেখতে হয়েছে টেলিভিশনে। অথচ তার থাকার কথা ছিল চীনে অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে। বিশ্বের অন্য সব সুন্দরীর সঙ্গে। চীনা কর্তৃপক্ষ তাকে ভিসা না দেয়ায় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অ্যানাস্তাসিয়া লিন। চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন চর্চা নিয়ে মুখ খোলেন ২৫ বছরের এই সুন্দরী। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ১২ বছর আগে মায়ের সঙ্গে কানাডা পাড়ি দেন লিন। এবারের মিস ওয়ার্ল্ডের ফাইনালের আগে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিন বলেন, আমার আমন্ত্রণ কখনই আসেনি। গত মাসে যখন তিনি হংকং থেকে চীনের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য ফ্লাইটে উঠতে যান, তখন তিনি জানতে পারেন তার নাম চীনে প্রবেশে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায়। লিন বলেন, চীনা সরকারের কাছে আমার কোন অস্তিত্বই নেই। আমাকে বলা হয়, কোন ব্যাখ্যা নেই। আপনি আসতে পারবেন না। তবে, ১০ হাজার মাইল দূর থেকেই মিস ওয়ার্ল্ডের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন লিন। ফাইনালের আগে ডাকা সম্মেলনে তিনি তার ও হুনান প্রদেশে তার বৃদ্ধ পিতার বিরুদ্ধে হয়রানির ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আমার পিতাকে ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। আমি আমার নিজের দেশের সীমান্তের ভেতরেই নিরাপদ বোধ করি না। লিনের পিতা তাকে লিখেছেন, তুমি দেশে না ফিরলেই ভালো হয়। লিন তার পিতার শঙ্কার ঘটনা দিয়ে শুরু করে চীন জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চলে যান। তিনি বলেন, চীনাদের জন্য নিজেদের ইচ্ছা ব্যক্ত করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত নিজেদের কথা তুলে ধরার জন্য চীনাদের অনুপ্রাণিত করা। লিন জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য মানবাধিকার আইনজীবীর প্রতি আহ্বান জানান। চীনে প্রবেশে লিনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বেশ ব্যাপক। মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার ১১৭ জন সুন্দরীর তালিকাতে ছিল না লিন। তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো রিপোর্টও চীনে ছাপা হয় নি। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সৃষ্ট ব্যাপক প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে লিন চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ওপর আরোপিত সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, শাসকগোষ্ঠীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে এমন যে কোন কিছু ফেলে দেয়া হয়। এ কারণে চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের স্ক্রিপ্ট পাল্টাতে হয়। লিনের বক্তব্য নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।