ব্লাটার-প্লাতিনি নিষিদ্ধ ৮ বছর

অবশেষে জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। সব ধরনের ফুটবলীয় কর্মকাণ্ডে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন সেপ ব্লাটার ও মিশেল প্লাতিনি। ফিফার এথিক্স কমিটির তদন্ত শেষে গতকাল এমন রায় দেয়া হলো। এ ছাড়া ব্লাটারকে ৪০ হাজার ডলার ও প্লাতিনিকে ৫৪ হাজার ডলার অর্ধ জরিমানা করা হয়েছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব অ্যারবিট্রেশন ফর স্পোর্টস-এ তারা দুজনই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। ১৯৯৮ থেকে টানা ৫ বারের ফিফার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার। আর তিনবারের ইউরোপ-সেরা ফুটবলার মিশেল প্লাতিনি ২০০৭ থেকে ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউয়েফা সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ৬০ বছর বয়সী ফ্রান্সের সাবেক এ ফুটবলারকে ফিফার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে তারা দুজনই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন। ২০১১ সালে মিশেল প্লাতিনিকে সেপ ব্লাটার অবৈধভাবে ফিফার ২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে তারা নিষিদ্ধ হলেন। যদিও তারা দুজনই বলেছেন মৌখিক চুক্তিতে ওই অর্থ লেনদেন করা হয়েছিল। ফিফার এই দুই কর্মকর্তা ছাড়াও সংস্থাটির আরও ৩৯ জন কর্মকর্তাকে আটক করে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ।
তাদের নিষেধাজ্ঞায় ফিফার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হওয়ার তালিকায় রইলেন বাহরাইনের শেখ সালমান বিন ইবরাহিম আল খেলাইফি, দক্ষিণ আফ্রিকার টোকিও সেক্সওয়াল, জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল-হুসাইন, ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত সুইস নাগরিক জিয়ানি ইনফান্তিনো ও ফ্রান্সের জেরোম শ্যাম্পেইন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয় ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ও সহ-সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে। গত অক্টোবরে এ শীর্ষ দুই ফুটবল কর্তাকে বরখাস্ত করে ফিফার এথিকস কমিটি। এ সময় ব্লাটার-প্লাতিনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছিলেন সুইজারল্যান্ডের এটর্নি জেনারেল মাইকেল লাউবার।